কক্সবাজারের উখিয়ায় তিনটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ড দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত নাশকতা তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। স্থানীয়দের দাবি, বিশেষ কোনো গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে তদন্ত কমিটির মাধ্যমেই আগুনের প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিস্তারিত জানানো হবে বলে পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ক্যাম্পকে ঘিরে কিছু বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন রয়েছে। তারা হয়ত এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। অগ্নিকাণ্ডে ঘরবাড়ি হারানোদের দাবি, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। আজকের আগুনে প্রায় পাঁচ শ ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে।েআরও
এরই মধ্যে ঢাকা পোস্টের হাতে একটি অডিও ক্লিপ এসেছে। যেখানে আরসার এক সদস্যকে মুঠোফোনে ক্যাম্পের ব্লকে আগুন ধরিয়ে দিতে বলতে শোনা যায়।
ওই অডিও ক্লিপে আরও শোনা যায়, ‘ক্যাম্পের সব পাড়ায় আগুন ধরিয়ে দাও। আমাদের এই ক্যাম্প লাগবে না। যদি কেউ বাধা দেয়, অপর প্রান্তে গিয়ে আগুন দাও। এই মিশন শেষ করতে হবে।’
করিম উল্লাহ (৩৩) নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার সদস্যরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ আরসার সদস্যদের ইয়াবা পাচার ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল সাধারণ রোহিঙ্গারা। তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
উখিয়া পালংখালী অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রবিউল হাসান বলেন, বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন আরসার সদস্যরা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। আরসা সদস্যরা দিনদুপুরে এই কাজটি করেছে। এ সময় তাদের বাধা দিতে চাইলে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অনেককে সরিয়ে দেয়। এই বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠনের সদস্যদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। না হয় ভবিষ্যতে এর চেয়েও জঘন্যতম কাজ করবে।
৮ আর্মড পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
এই ঘটনায় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী জড়িত কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে কিছু বলা যাচ্ছে না।
পাঠকের মতামত